কোপা দেল রে জয়ের দিনের মতোই দুর্দান্তে ছন্দে ছিলেন মেসি। জোড়া গোলও করেছিলেন। ম্যাচের শেষ দিকে পাওয়া পেনাল্টিতে হ্যাটট্রিক চান্সও এসেছিল সামনে। কিন্তু সুযোগ না নিয়ে সতীর্থ ফরাসি তারকা আতোয়াঁ গ্রিজম্যানকে কিক নিতে দিলেন।
 
আর ওই পেনাল্টি থেকে জাল কাঁপিয়ে জয়ের অবদানে অংশীদারি হন গ্রিজম্যান।
 
লা লিগায় বৃহস্পতিবার রাতে ঘরের মাঠে গেটাফের বিপক্ষে ৫-২ গোলের বড় জয় পেয়েছে বার্সেলোনা। পুরো ম্যাচজুড়েই বার্সা অধিনায়ক ছিলেন দুর্দান্ত। সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। পাঁচ গোলেই পরোক্ষ বা প্রত্যক্ষ অবদান রেখেছেন।জোড়া গোলের পাশাপাশি এসিস্টও করেছেন মেসি।
 
ম্যাচ শুরুর ৮ মিনিটের মাথায় স্কোরশিটে নাম লেখান মেসি। সার্জিও বুসকেটসের বুদ্ধিদীপ্ত থ্রু বল ধরে গেটাফের জাল কাঁপান মেসি।
 
এর মাত্র ৪ মিনিট পর গোল শোধ করে দেয় গেটাফে। অবশ্য তাতে গেটাফের কোনো সফলতা ছিল না। আত্মঘাতী গোলো সমতায় ফেরে বার্সা।
 
বাম দিক থেকে ক্রস করেন গেটাফের মার্ক কুকুরেইয়া। সেই বলে বক্সে দাঁড়িয়ে ফ্লিক করেন অ্যাঞ্জেল রদ্রিগেস। কিন্তু ক্লেমেন্ত লংলের গায়ে লেগে ঢুকে যায় জালে।
 
এমন আত্মঘাতী গোলে বেশিক্ষণ হতাশ হয়ে থাকতে হয়নি কাতালানদের। ২৮ মিনিটে ফের আত্মঘাতী গোল। এবার গেটাফের জালে।
 
ডি-বক্সের বাইরে গেটাফের দুই ডিফেন্ডার থেকে বল ছিনিয়ে নিতে গিয়েছিলেন মেসি।
 
বিপদমুক্ত হতে গোলরক্ষক ডেভিড সোরিয়ার উদ্দেশ্যে ব্যাক পাস দিয়ে দেন ডিফেন্ডার সোফিয়ান চাকলা। কিন্তু সোরিয়া ততক্ষণে অনেকটা সামনে। তাকে অতিক্রম করেই বল গড়িয়ে জালে প্রবেশ করে। চেয়ে চেয়ে দেখা ছাড়া কিছুই করার ছিল না গোলরক্ষকের।
 
আত্মঘাতী গোলের সুবাদেই ২-১ ব্যবধানে লিড নেয় বার্সা।
 
ওই গোলের ৫ মিনিট পর মেসির পায়ের ছন্দ দেখেন ফুটবলপ্রেমীরা। ডান দিক থেকে তার বাম পায়ের শট প্রথমে পোস্টে লেগে তার কাছেই ফেরত আসে। দূরের পোস্ট দিয়ে ফের শট নেন মেসি। এবার বল গেটাফের জালে জড়িয়ে যায়।
 
জোড়া গোল পূরণ করেন মেসি। ৩-১ ব্যবধানে বিরতিতে যায় দুই দল।
 
দ্বিতীয়ার্ধে ফিরে ৬৯ মিনিটের সময় পেনাল্টি পায় গেটাফে। ডি-বক্সের মধ্যে গেটাফে ফরোয়ার্ড এরেস উনালকে ফাউল করেন বদলি হিসেবে নামা আরাউহো, পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। স্পটকিক থেকে গোল করে ব্যবধান কমান উনাল নিজেই।
 
৩-২ ব্যবধানে খেলা চলে বাকিটা সময়। এভাবে ম্যাচ চলে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত। ৮৭ মিনিটে গিয়ে মেসির এসিস্টে ব্যবধান বাড়ান আরাউহো। মেসির বাঁকানো কর্নারে লাফিয়ে ওঠা হেডে হালিপূরণ করেন আরাউহো।
 
অতিরিক্ত যোগ করা সময়ে ডি-বক্সে ফাউলের শিকার হন গ্রিজম্যান। পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। মেসি কিক না নিয়ে পুরো ম্যাচজুড়ে নিজেকে খুঁজে না পাওয়া গ্রিজম্যানকে দেন কিক করতে। সফল স্পটকিক থেকে গোল করলে ৫-২ ব্যবধানে জয় পায় বার্সেলোনা।
 
এ জয়ের পর ৩১ ম্যাচে ৬৮ পয়েন্ট নিয়ে তিন নম্বরে আছে বার্সা। এক ম্যাচ বেশি খেলে ৭০ পয়েন্ট নিয়ে দুই নম্বরে রিয়াল মাদ্রিদ। সমান ম্যাচ খেলে ৭৩ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ।